বাংলাদেশের সবচেয়ে বিলাসবহুল বাড়ি (মূল্য মাত্র ৩০০ কোটি টাকা)
বাংলাদেশের একক মালিকানাধীন সব থেকে ব্যায়বহুল বাড়ি।
বাংলাদেশের এযাবতকালের সবচেয়ে ব্যয়বহুল বাড়ি হিসেবে আলোচনায় উঠে এসেছে সিলেটের “কাজি ক্যাসল” নামক বাড়িটি।
সিলেটে নির্মাণাধীন এই বাড়ি নিয়ে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। প্রাসাদসম এই বাড়িটির নির্মাণশৈলী দেখে মুগ্ধতার পাশাপাশি এই বাড়ির নির্মাণ ব্যয় দেখে সিলেটের মানুষের কৌতুহলের অন্ত নেই।
মোট ৮০হাজার স্কয়ারফুটের ৩ তলা ভবনের শুধু নিচ তলায় রয়েছে ৯টি ডায়নিং রুম, ১৪টি ড্রইং রুম, আছে দুটি লিফট,আভিজাত্যময় ইতালিয়ান বুক ম্যাচিং ওয়ান প্লেট মার্বেলের আধিক্য আছে পুরো বাড়ি জুড়ে। ৫ হাজার মানুষের অনুষ্ঠান করার বন্দোবস্ত আছে এই বাড়িতেই। পারিবারিক অনুষ্ঠান আয়োজনের জন্য রয়েছে পৃথক পৃথক কক্ষ।সৌদি আরবের ওয়াকফ মিনিস্ট্রির উপহার দেওয়া কাবা শরীফের দরজার রেপ্লিকাও রাখা হয়েছে বাড়িটিতে।
২৯টি মাস্টার বেডের ডিজাইন করা হয়েছে ২৯টি দেশের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের আলোকে।
উল্লেখ্য, “কাজি ক্যাসল” এর স্বত্বাধিকারী স্বনামধন্য ব্যবসায়ী মাহতাবুর রহমান বিশ্ববিখ্যাত ব্র্যান্ড আল-হারামাইন পারফিউমস্ গ্রুপ অব কোম্পানীজের চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক। তিনি বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক টানা তিনবার সিআইপি নির্বাচিত হন। মাহতাবুর রহমান ২০১৩ ও ১৪ সালে বাংলাদেশে সর্বাধিক রেমিটেন্স পাঠানোর স্বীকৃতি স্বরূপ বাংলাদেশ ব্যাংক রেমিটেন্স এ্যাওয়ার্ড লাভ করেন।
সিলেটের মেজরটিলাস্থ ইসলামপুর আবাসিক এলাকায় প্রায় ৮ একর জায়গার উপর নির্মান করা হয়েছে বাড়িটি।
বাড়িটিতে রয়েছে হ্যালিপ্যাড, সুইমিং ও স্টীমবাথসহ অত্যাধুনিক এবং বিলাসবহুল সকল সুযোগ সুবিধা।
মনোমুগ্ধকর বিলাস বহুল এ বাড়িটি তৈরী করতে আড়াইশ শ্রমিকের ৮ বছর সময় লেগেছে, কাজ করেছে চারটি দেশের চার নির্মাণ প্রকৌশলী প্রতিষ্ঠান।
২০০৮ সালে সিলেটের ইসলাম পুর এলাকায় তিন তলা বিশিষ্ট এই বাড়ির কাজ শুরু করা হয়। দুবাই, ফ্রান্স, লেবানন ও জার্মানি এই চার দেশের প্রকৌশলী দ্বারা বাড়িটি নির্মাণ করা হয় ।
দুবাইয়ের একজন প্রকৌশলী বাড়িটির ডিজাইন করেছেন, ইন্টেরিওর ডিজাইন করেছেন একজন লেবানিজ, ফ্লোর ফিটিংস এর কাজ করেছে ফ্রান্সের একটি কোম্পানি এবং লাইটিং এর কাজ করেছে জার্মানির 'টিফেনি লাইটিং' ।
৮০ হাজার স্কয়ার ফিটের বাড়িটির নির্মাণ ব্যয় আনুমানিক তিনশত কোটি টাকা। সবচেয়ে মজার কথা হল এইটা আনুমানিক। কারো মতে দুইশ , কারো মতে আরো বেশী। এব্যাপারে মাহতাবুর রহমানের বক্তব্য হলঃ "এ বাড়িটি আমি নিজের জন্যে তৈরি করেছি, কোন হিসাব করিনাই। ব্যবসার জন্য হলে হিসাব রাখতাম কোথায় কত খরচ হয়েছে।"
তিনি আরো বলেন "লোক দেখানো নয়, একান্নবর্তী পরিবারের সবাইকে এক ছাদের নিচে নিয়ে আসার জন্যেই আমার এ উদ্যোগ।"
কিছু ছবিও দিয়ে দেই।
No comments:
Post a Comment