প্রাণীর দখলে বিশ্বের যে ১০ অঞ্চল (পর্ব-২)
সাপের দ্বীপ, ব্রাজিল
ব্রাজিলের তীরবর্তী দ্বীপ Ilha de Queimada Grande। সঙ্গত কারণেই স্থানটিকে ঝুঁকিপূর্ণ বলা হয়। দ্বীপের প্রতি বর্গমিটারে এক থেকে পাঁচটি সাপের সাক্ষাৎ পাওয়া যায়। কেবল জীববিজ্ঞানী ছাড়া এখানে বহিরাগতদের প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এখানে এক স্বতন্ত্র গোছের পিট ভাইপার রয়েছে। প্রায় দুই ফুট লম্বা ভাইপার একবার কোনো প্রাণীকে কামড়ে দিলে সঙ্গে সঙ্গে মাংস গলে যায়।
খরগোশের দ্বীপ, জাপান
জাপানের হিরোশিমা প্রিফেক্চারে অবস্থিত ওকুনোশিমা ছোট্ট দ্বীপে ছিলো বিষাক্ত গ্যাস ফ্যাক্টরি। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় এটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। সেখানে প্রচুর খরগোশ ছিলো, যাদের ওপর কেমিকেল টেস্ট করা হতো। ফ্যাক্টরিটি ধ্বংস করে ফেলার পর যেসব খরগোশের ওপর কেমিকেল টেস্ট করা হয় সেগুলোকে মেরে ফেলা হয়। আর অন্যান্য খরগোশদের ছেড়ে দেওয়া হয় দ্বীপে। বেঁচে যাওয়া খরগোশরা বংশবিস্তার করে করে স্থানটিকে নিজেদের কলোনি হিসেবে গড়ে তোলে।
শিয়ালের গাঁ, জাপান
এবার নিশ্চই তোমাদের একবার হলেও জাপান যেতে ইচ্ছে হবে! বিড়াল আর খরগোশেরে এলাকার পর এবার চলো শিয়ালের গ্রামে। জাও ফক্স ভিলেজ নামে শিয়ালের গ্রামে থাকে ছয় প্রজাতির শিয়াল। সব মিলিয়ে এখানে শিয়াদের সংখ্যা প্রায় দেড়শো। জাপানের মিয়াগি প্রিফেক্চারে অবস্থিত এ গ্রামে ঘুরতে এসে দর্শনার্থীরা এদের কোলে নিতে ও খাওয়াতে পারে। জাপানে শিয়ালকে উর্বরতা, সমৃদ্ধি ও ভাতের দেবী ইনারি ওকামির বাহক বলে মনে করা হয়।
তথ্যসূত্র: ইন্টারনেট
No comments:
Post a Comment